DEVGANER KOLIKATAY AGAMAN | দেবগণের কলিকাতায় আগমন

₹ 380 / Piece

₹ 475

20%

Whatsapp
Facebook

দেবগণের কলিকাতায় আগমন বইটি দেবগণের মর্ত্যে আগমন বইটির শুধুমাত্র কলিকাতার অংশটি টীকা সহ প্রকাশিত হল। এই বইটি আসলে একটি ভ্রমণ কাহিনি। সেই সব পরিব্রাজকেরা কেউই মানুষ নন, দেবতা, যদিও মনুষ্য বেশে ও সংশ্লিষ্ট ক্লেশের শিকার হয়ে যতদূর সম্ভব মনুষ্য ভাবেই তাঁরা ভারতভূমি দর্শন করেছেন। ভ্রমণ পিপাসুদের মত প্রকৃতি দর্শনের পাশাপাশি ভ্রাম্যমান দেবতারা দেখতে এসেছিলেন ইংরেজ শাসনের একশ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর কি কি বিষয়ে কতখানি পরিবর্তন ঘটেছে। ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থান ভ্রমণ করে কলকাতায় এসে পৌঁছালে কলকাতার সাম্প্রতিকতম অবস্থা, বিভিন্ন স্থান ও ব্যাক্তির বর্ণনা বাবুয়ানি সম্পর্কে বিভিন্ন ভাষ্য, কেচ্ছা ইত্যাদি এই রচনাকে ভ্রমণ কাহিনীর বাঁধা ছক থেকে বার করে এনে এক সরস সামাজিক ধারা বিবরণীতে উত্তীর্ণ করেছে। যা কলিকাতা চর্চার একটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হিসাবে চিহ্ণিত হবে।

দুর্গাচরণ তাঁর বইখানি তুলে দিতে চেয়েছিলেন, ‘সর্বকালের ভ্রমণ বিলাসীদের করকমলে’ অথচ বইটি কিন্তু নিছক এক ভ্রমণ কাহিনী আদৌ নয়। সেই সব পরিব্রাজকেরা কেউই মানুষ নন, দেবতা, যদিও মনুষ্য বেষে ও সংশ্লিষ্ট ক্লেশের শিকার হয়ে যতদূর সম্ভব মনুষ্য ভাবেই তাঁরা ভারতভূমি দর্শন করেছেন। ভ্রমণ পিপাসুদের মত প্রকৃতি দর্শনের পাশাপাশি ভ্রাম্যমান দেবতারা দেখতে এসেছিলেন ইংরেজ শাসনের একশ বছর অতিক্রান্ত হলে পর কি কি বিষয়ে কতখানি পরিবর্তন ঘটেছে। দেশের প্রকৃত অবস্থা কি। জলাধিপতি বরুণ, যাঁর মর্ত্যধামে গতায়াত প্রায় নিয়মিত, ইংরেজ রাজত্ব সম্পর্কে প্রথমেই তিনি তাঁর মুগ্ধতার কথা জানিয়ে বলেছেন, ‘এ প্রকার বুদ্ধিমান ও প্রতাপশালী রাজা আমি কখন কোন যুগে চক্ষে দেখি নাই। পৃথিবীর মধ্যে এমন কোন স্থান নাই, যেখানে ইহাদের রাজ্য নাই। স্বর্গে ইংরেজাধিকৃত স্থান নাই বটে, কিন্তু সত্বরেই বোধকরি, স্বর্গরাজ্যও ইংরাজদের করতলগত হইবে’।

একদিন ইন্দ্র, বরুণ প্রমুখেরা মর্ত্য বিষয়ে নারায়ণের সঙ্গে আলাপ আলোচনা ক্রমে স্থির হল সব দেবতা একত্রে মর্ত্যধামে এসে চাক্ষুষ একবার ভারতের অবস্থা প্রত্যক্ষ করবেন। নারায়ণের সাধ, ‘একবার কোলকেতা দেখিতে ও কলের গাড়িতে চড়িতে বড় সাধ’। কিন্তু নারায়ণের এহেন আবদারে লক্ষ্মীদেবীর বয়ানে দেশী বিত্তবান বাবুদের মত নারায়ণের চরিত্র স্খলনের সম্ভবনার কথা বলে সাবধান করেছেন। “সেখানে গিয়ে যদি আরমানি বিবি পাও আর কি আমায় মনে ধরবে? না, স্বর্গের প্রতি ফিরে চাইবে? হয়তো তাদের সঙ্গে মিশে মদ, মুরগী, বিস্কুট, পাঁউরুটি খেয়ে ইহকাল পরকাল ও জাত খোয়াবে! শেষে জাতে ওঠা ভার হবে, আর দেখতে দেখতে যে বিষয়টুকু আছে তাও ক্ষোয়া যাবে। এমনও হতে পারে --- ব্রাহ্মসমাজে নাম লিখিয়ে বিধবা বিয়ে করে বসবে। কিংবা থিয়েটারের দলে মিশে ইয়ারের চরম হয়ে রাতদিন কেবল ফুলুট বাজাবে ও লক্ষ্মীছাড়া হবে। শুনেছি কোলকাতার শীল না নোড়া কারা ৭৫ হাজার টাকায় কোন থিয়েটার কিনে দুই তিন লক্ষ টাকা উড়াইবার যোগাড় করেছে। আমিও শীঘ্র তাহাদের বাড়ী পরিত্যাগের ইচ্ছা করেছি’। খুব কম কথায় কলকাতার সেকালের বাবুদের ফূর্তি আর ফতুর হয়ে যাওয়ার চালু কিসস্যাগুলিকে লক্ষ্মীর বয়ানে লেখক পরিবেশন করেছেন, যাকে বলে প্রথম চোটেই। এরপর মহাদেবের সঙ্গেও মর্ত্যযাত্রার বিষয়ে কথোপকথনে মর্ত্যের, বিশেষ্ট কলকাতার সাম্প্রতিকতম অবস্থা , বাবুয়ানি সম্পর্কে লেখকের ভাষ্য এই রচনাকে ভ্রমণ কাহিনীর বাঁধা ছক থেকে বার করে এনে এক সরস সামাজিক ধারা বিবরণীতে উত্তীর্ণ করেছে।


Reviews and Ratings

No Customer Reviews

Share your thoughts with other customers